Posts

Showing posts from May, 2024

ধ্যানে-জ্ঞানে "পিচওয়াই"!

Image
"আত্মার মাঝে খুঁজে পেলাম, ঈশ্বরের ধ্যান,    এ ধ্যানে পাওয়া যায় জীবনের জ্ঞান।" একটা সমগ্র চিত্রকলা কেবলমাত্র একজনকেই কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে। ভাবা যায়? হ্যাঁ, বাস্তবের মাটিতে পা রাখলে একটু খুঁজে দেখলেই পাওয়া যাবে পিচওয়াই চিত্রকলাকে , যার ধ্যান-জ্ঞান বলতে একজনই, সে হলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ । এতদিন ছবি আঁকা ছিল মূল বিষয়বিস্তু। কিন্তু, এই চিত্রকলার মূল বিষয় ছবি আঁকার পাশাপাশি ভক্তিও বটে! সুতরাং, আজকের আলোচনার বিষয় রাজস্থানের আধ্যাত্মিক চিত্রকলা " পিচওয়াই "! " পিচওয়াই "( সোর্স:গুগল ) ৪০০ বছরের পুরোনো এই পিচওয়াই-এর জন্ম হয়েছিল রাজস্থানের নাথদ্বারা শহরে। ' পিচওয়াই ' কথাটি এসেছে সংস্কৃত শব্দ থেকে। যার আক্ষরিক অর্থ হলো ' যা পিছন থেকে ঝুলে থাকে এমন ' । এই চিত্রকলায় সাধারণত কাপড়ের মধ্যে ভগবান শ্রী কৃষ্ণ এবং তাঁর জীবনচিত্রের ছবি আঁকা হয় নানান প্রানবন্ত রঙ যেমন খনিজ, উদ্ভিদ থেকে পাওয়া প্রাকৃতিক রঙ-এর সাহায্যে। বর্তমানে এই চিত্রকলা খুবই জনপ্রিয়তা লাভ করেছে এবং এটি শুধুমাত্র এখন কাপড়েই নয় কাগজ, ক্যানভাস ও সিল্ক জাতীয় বিবরণে আঁকা হয়ে থাকে। এই চিত...

তালপাতার "মিনিয়েচার" !

Image
শিল্প সমাজের আয়নার মতো। এটি একটি স্থানের সংস্কৃতির সূক্ষ্মতা প্রকাশ করে। গান, নাচ, কারুশিল্প এবং চিত্রকলার মতো বৈচিত্র্যময় শিল্পের কারণে ভারত সমস্ত শিল্পপ্রেমীদের আনন্দের প্রতীক। ভারতের সবচেয়ে আকর্ষণীয় শিল্পগুলির মধ্যে একটি হল মিনিয়েচার বা ক্ষুদ্র বা লঘু চিত্রকলা!  যা হাজার হাজার অনুভূতি, আবেগ এবং চিন্তাভাবনা প্রকাশ করার একটি উৎস। রাজস্থান বা গুজরাটের এই মিনিয়েচার চিত্রকলাকে রাজকীয় চিত্রকলা বললে খুব একটা ভুল কিছু বলা হবেনা ! কারণ, এই চিত্রকলার উদ্ভব হয়েছিল ভারতের মধ্যকালীন যুগে। সেই সময়ের শাহী জীবনযাপনকে মিনিয়েচার চিত্রকরেরা নিজের তুলিতে ফুটিয়ে তুলতেন। আর, এমনভাবেই ফুটিয়ে তুলতেন যে এত হাজার-হাজার বছর পরেও সেই চিত্রকলাগুলিকে দেখলে এখনও নতুন ও বাস্তবসম্মত বলে মনে হবে। ভারতে মিনিয়েচার চিত্রকলার প্রবর্তক হিসেবে বাংলার পালদের কৃতিত্ব দেওয়া হয় এবং পথপ্রদর্শক মনে করা হয়।  কিন্তু মুঘলদের অধীনেই মিনিয়েচার চিত্রকলা শীর্ষে পৌঁছেছিল। 750 খ্রিস্টাব্দের দিকে ভারতে মিনিয়েচার চিত্রকলা বা লঘু চিত্রকলার উদ্ভব ঘটে। তবে, মুঘল সাম্রাজ্যই এই চিত্রকলাকে নতুন রূপ দেয়। মুঘলদের ব্যাপার-...

সোনায় মোড়ানো "তাঞ্জোর" চিত্রকলা!

Image
দক্ষিণ ভারতের মধ্যে যেসব চিত্রকলা রয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম সমৃদ্ধশালী এবং ঐতিহ্যবাহী চিত্রকলা হল তাঞ্জোর চিত্রকলা ।  তামিলনাড়ুর দক্ষিণ রাজ্যে তাঞ্জাভুর শহরে এই চিত্রকলার জন্ম হয়েছিল। উৎপত্তিস্থল এর নামানুসারে এই চিত্রকলার নাম দেওয়া হয়েছিল। যদিও এই চিত্রকলা  তাঞ্জাভুর  চিত্রকলা নামেও খ্যাত। এই চিত্রকলা ষোড়শ শতাব্দী থেকে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে এবং চোলা সম্রাটদের শাসনকালে চিত্রিত হয়েছিল এবং চিত্রশিল্পে সোনা ব্যবহারের জন্য বিখ্যাত। যখন মারাঠারা তামিলনাডুর তাঞ্জোর আক্রমন করে তখন অনেক চিত্রশিল্পী এবং শিল্পী এখানে এসে বসবাস করা শুরু করেন এবং তাদের শাসনকালে এই শিল্পকলা বিস্তার লাভ করে। এই চিত্রকলাকে 'সোনালী তাঞ্জোর' ও বলা চলে। কারন চিত্রকলা যখন সত্যিই দামি হয়...মূল্যবান হয়...তখনই নাম আসে এই তাঞ্জোর চিত্রকলার ! সোনা সহ আরো নানান মূল্যবান পাথর এই চিত্রকলায় ব্যবহার করা হতো। আর সমগ্র ভারতে এই চিত্রকলার জনপ্রিয়তার অন্যতম কারণ হল এতে ব্যবহৃত উজ্জ্বল রঙ, জটিল বিবরণ এবং সোনার ব্যবহার। কিন্তু, এই তাঞ্জোর চিত্রকলা আসলে কি? কেমন হয় এই তাঞ্জোর চিত্রকলা ? সে বিষয়ে আলোচনা করা যাক... তাঞ...

প্রকৃতি-স্বজন "গোন্ড" চিত্রকলা...

Image
এতদিন এত শৈলী, চিত্রকলার  ব্যাপারে জেনে এসেছি যেগুলি সাধারণত ঘরসজ্জার জন্য ব্যবহার করা হতো। তবে, আজকের এই আলোচনা কিন্তু একটু অন্যরকম ! কারণ, যে চিত্রকলা আজ তুলে ধরা হবে সেটি কেবলমাত্র ঘরসজ্জার জন্যই নয় বরং এটি হলো মাটির খুব কাছাকাছি এবং প্রকৃতির এক আপন চিত্রকলা! এক কথায়, প্রকৃতির বন্ধু বলা যেতে পারে। কারণ, এরা একে অপরকে অভূতপূর্নভাবে সাহায্য করে থাকে। সবথেকে বড়ো ব্যাপার হলো, এই চিত্রকলা নিজেদের ঐতিহ্য নিজেরাই বছর কে বছর বহন করে আসছে। জেনে নি সেই সম্পর্কে... " গোন্ড চিত্রকলা "! এই গোন্ড চিত্রকলা হলো ভারতের গোন্ড উপজাতিদের একটি নিজস্ব শৈলী, যেখানে শুধু চিত্রকলাই থাকেনা! সাথে থাকে লোকনৃত্য,গান,বার্তা ইত্যাদি আরো অনেক কিছু !  এই চিত্রকলার জন্ম হয়েছে মধ্যপ্রদেশে । কিন্তু, এই গোন্ড উপজাতির পরিচয় কি? গোন্ডরা হলো বিশ্বের বৃহত্তম উপজাতিদের মধ্যে অন্যতম একটি উপজাতি। আর, এই একবিংশ শতাব্দীতে এসে শুধু মধ্যপ্রদেশেই নয়! এই গোন্ড উপজাতি নিজেদের বিস্তৃতি লাভ করেছে ছত্তিশগড়, মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, গুজরাট, ঝাড়খন্ড, কর্ণাটক, তেলেঙ্গানা, উত্তর প্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ এবং উরিষাতেও। এই গোন্ড শব্দ...

রাজস্থানের ঐতিহ্য "ফাঁদ"!

Image
উত্তর ভারতে অবস্থিত স্থল বেষ্টিত ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিতে পূর্ণ রাজকীয় রাজস্থান হলো বৈচিত্রপূর্ণ এক শহর। একদিকে দেখা যায় মরুভূমির সোনালী বালি অপরদিকে দেখা যায় বালির দানা ছাড়াই সবুজ গাছপালার সমাহার। এই রাজাদের শহর থেকেই উঠে এসেছে প্রাচীনকালের এক চিত্রকলা ' ফাঁদ '! যেটি কিনা অন্যান্য চিত্রকলা থেকে একটু ভিন্ন ধরনের! একটি খাদি কাপড়ের উপর লম্বা আয়তাকার পেইন্টিং যা গাঢ় রং ব্যবহার করে তৈরি করা হয় এবং যেখানে দেবদেবীদের জীবনচিত্র তুলে ধরা হয়। এই চিত্রগুলি মূলত গ্রামবাসীদের জন্য একটি বিনোদনমূলক সন্ধ্যা তৈরি করতো যেখানে নাচ-গানের মাধ্যমে পৌরাণিক কাব্যগুলিকে তুলে ধরা হতো। সুতরাং আজকের ব্লগে জেনে নেবো রাজস্থানের ঐতিহ্য "ফাঁদ" । রাজস্থানের লোক-দেবদেবীদের এছাড়াও রাম, কৃষ্ণ, বুদ্ধ, মহাবীরের জীবন নিয়ে দীর্ঘ কাপড় বা ক্যানভাসে উদ্ভিজ্জ রঙ দিয়ে আঁকা হয়ে থাকে এই " ফাঁদ " চিত্রকলায়। রাজস্থানের মহাপুড়া এবং ভিলপুড়ার যোশী পরিবারগুলি গত দুই শতাব্দী ধরে এই লোকশিল্পের ঐতিহ্যবাহী শিল্পী হিসাবে ব্যাপকভাবে পরিচিত। বর্তমান দিনে দাঁড়িয়ে শ্রীলাল যোশী, পার্বতী যোশী, নন্দ কিশোর যোশী, প্রদীপ মুখ...

চিত্রকলা নয়, চিত্রকথা ''ওয়ারলি"!

Image
ভারত একটি বৈচিত্রপূর্ণ দেশ। যেখানে রয়েছে অগুনতি জাতি-উপজাতি, সংষ্কৃতি। হিমালয়ের পর্বত চূড়া থেকে সমুদ্রের জলবিন্দু অব্দি - এই বিশাল উপমহাদেশের প্রতিটি কোনে রয়েছে ঐতিহ্য, ভাষা, রীতিনীতি, বিশ্বাসের এক অনন্য সংমিশ্রণ। সেরকমই একটি ঐতিহ্যপূর্ন আদিবাসী উপজাতি হলো " ওয়ারলি "।এই " ওয়ারলি চিত্রকলা " মূলত ওয়ারলি আদিবাসী সম্প্রদায়ের হাত ধরেই ভারতে এসেছে। ঐতিহাসিকদের মতে, এই চিত্রশিল্পটি সবচেয়ে প্রাচীন চিত্রকলা হিসেবে পরিচিত।  ভারতের পশ্চিমি দ্বিতীয় সর্বাধিক জনবহুল রাজ্য " মহারাষ্ট্রে " এর প্রথম উদ্ভব হয়। যদিও গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থানেও এই সম্প্রদায়ের উল্লেখ পাওয়া যায়।  এ এক স্বতন্ত্র চিত্রকলা। যে কিনা নিজস্ব সৃজনশীল উপায়ে অনন্য ! সে হল " ওয়ারলি চিত্রকলা "। ভারতীয় চিত্রকলার এই অনবদ্য সংকলন নিয়েই আজকের এই ব্লগ। ওয়ারলি চিত্রকলায় উৎপত্তির সময়কাল হিসেবে ঐতিহাসিকরা ১০ম শতককেই বেছে নিয়েছেন নানান নিদর্শনের উপর ভিত্তি করে। তবে জানা যায় যে, ১৯৭০ সাল পর্যন্ত এই চিত্রকলাটি মানুষের চোখের আড়ালে ছিলো। মূলত, ভারতের পশ্চিমঘাট পর্বতমালার উপকূলীয় অঞ্চল অর্থাৎ দাহনু, তালাশা...

রঙবেরঙের "কলমকারি" !

Image
কলমকারি নামটা কিন্তু আমাদের কাছে খুব একটা অচেনা নয়। কারণ, বর্তমান দিনে দাঁড়িয়ে " কলমকারি " শুনলেই আমাদের মাথায় প্রথমেই আসে হাতে আঁকা বা ব্লক মুদ্রিত কটন শাড়ির কথা যা ভারত এবং ইরানের কিছু অংশে তৈরি করা হয়। কিন্তু, কেবলমাত্র শাড়িতেই এই কলমকারি সীমিত নয়। ভারতের সেই প্রাচীন কাল থেকে বহু ঐতিহ্যবাহী চিত্রকলা প্রচলিত রয়েছে যার মধ্যে অন্যতম তথা জনপ্রিয় চিত্রকলা হলো " কলমকারি " চিত্রকলা। তবে, এর পেছনেও কম ইতিহাস লুকিয়ে নেই। সেই অজানা ইতিহাস কে নিয়েই আজকে আলোচনা করবো। কথাতেই আছে " কলমকারি "। একটু সন্ধি বিচ্ছেদ করলেই এই চিত্রকলার প্রকৃত অর্থ আমরা সহজেই বুঝতে পারবো। কলমকারি অর্থাৎ কলম+কারি। কলম মানে হলো পেন, আর কারি অর্থে এখানে কারিগরকে বোঝানো হয়েছে। পুরো অর্থ হলো, কারিগর বা শিল্পীর দ্বারা আঁকা কলমের শিল্পকর্ম । এছাড়াও, কলমশিল্প বা কলমকাজও বলা চলে। আদতে কিন্তু তাই বোঝায়। সে বিষয়ে একটু আলোচনা করলেই বোঝা যাবে। জানা যায় যে, এই কলমকারি চিত্রকলার উৎপত্তি তেলেঙ্গানা এবং অন্ধ্রপ্রদেশে প্রায় কয়েকশো বছর আগে হয়েছে। কিন্তু, এই বিশেষ চিত্রকলা বিশ্বের সামনে আসতেই পারতোনা যদিন...

ছেঁড়া ফুল নয়, ঝরে যাওয়া ফুলের "মধুবনী"!

Image
।। যখন বিষন্ন হয় মন, শ্বাসরুদ্ধকর শহরে, ছুটে চলে যাই তুলিতে আঁকা গ্রাম গোলাবাড়ির কোনে ।।   এই একঘেয়েমিতে ভরা শহরে যখন একদমই মন টেকে না, তখন মনে হয় যে ছুটে চলে যায় কোনো এক জায়গায় যেখানে শান্তির আভাস পাওয়া যাবে। এই ব্যস্ত যানজটময় শহরে বড্ড দম বন্ধকর পরিবেশের হাত থেকে বাচঁতে মাঝে মাঝে সবুজ শীতলময় গ্রামের স্নিগ্ধ বাতাস অনুভব করতে ইচ্ছে করে। সেরকমই একটি জায়গার কথা আজকে তুলে ধরবো যেখানে গ্রামের প্রত্যেকটি দেওয়াল, প্রত্যেকটি কুঁড়েঘর তুলি দিয়ে আঁকা। আজ বলবো সীতা মায়ের জন্মস্থান " মিথিলার " মধুবনী চিত্রকলা নিয়ে। যে চিত্রকলায় ঢেকে থাকে গ্রামের  দেওয়াল, আঙিনা গুলো। ভারতীয় সংস্কৃতি নানান চিত্রকলা তে আচ্ছন্ন, সেগুলির মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় হলো এই মধুবনী চিত্ৰকলা। বিহারের মিথিলা এবং নেপালের কিছু অঞ্চলের একটি ঐতিহ্যেবাহী পরিচয় হলো এই মধুবনী পেইন্টিং। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে এমন আর্ট ফেস্ট হয়তো খুব কমই দেখা যায় যেখানে হয়তো এই মধুবনী আর্ট চোখে পড়েনা। বিহার থেকে যাত্রা শুরু করলেও এই মধুবনী আর্ট এখন এখন পা দিয়েছে জাপান পর্যন্ত। জাপানের এক জাদুঘরে এই মধুবনী চিত্রকলা প্রদর্শিত হয়েছে।তবে ইতিহাসের পাতায় ...

পটচিত্র : রঙের ছোঁয়ায়, রঙ বাহারি !

Image
ক্লাস  টুয়েলভ এ বাঙালির চিত্রকলা তে পড়া "পটশিল্প" এর কথা মনে আছে তো? সংস্কৃত শব্দ "পট্ট" থেকেই পট কথাটির জন্ম, যার অর্থ হলো "কাপড়"। এই কাপড়ের ওপরই আটা, কাদা, গোবরের প্রলেপ দিয়েই প্রথমে জমিন তৈরি করা হয়। "পট" আমাদের কাছে সেভাবে অজানা নয়। কারণ, আমাদের বাংলা সংস্কৃতির অন্যতম ধারক এবং বাহক হলো এই "পটচিত্র" বা "পটশিল্প" । উড়িষ্যা এবং বাংলার এই গৌরবময় শিল্পকলা নিয়ে আমরা কম-বেশি সকলেই জানি। রাজস্থানের কিছু অঞ্চলেও পটচিত্রের সন্ধান পাওয়া যায় তবে তা বাংলা বা উড়িষ্যার মতন সমৃদ্ধশালী নয়। প্রাচীন বাংলায় যখন কোন দরবারি শিল্পের ধারা গড়ে ওঠেনি তখন পটচিত্রই ছিল বাংলার গৌরবময় ঐতিহ্যের ধারক। কোলকাতা থেকে প্রায় ১৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলা ব্লকের "নয়া গ্রাম" নিজের শিল্প মাধ্যম এবং ঐতিহ্যবাহী ধারণ ক্ষমতা নিয়ে আজ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে বিশ্বের দরবারে। পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে হয়তো এই একটা গ্রামই অবশিষ্ট রয়েছে যেখানে গেলে আমাদের চোখ ধাঁধিয়ে যাবে। প্রত্যেকটি বাড়ির দেওয়ালে, উঠোনে এই কারুকার্য তারা ফুঁটিয়ে তুলেছে। এম...

''চিত্রের" রহস্য ও তার বিবরণ।

" আমি তো ছবিতে এক বারেই রঙ দিই না ! আগে পেনসিল দিয়ে ঘষে ঘষে একটা রঙ তৈরি করে মানানসই করি, তারপরে তার উপর রঙ চাপাই। তাতে করে হয় কি – রঙটা একটু জোরালো হয়।”- রবি ঠাকুর।  আমরা যদি আমাদের ঐতিহ্যবাহী ভারতবর্ষের চিত্রকলা নিয়ে আলোচনা করতে বসি, তাহলে আমরা হয়তো মুশকিলে পড়বো! ভারতে যে রয়েছে লুকিয়ে থাকা অনেক চিত্রকলার ইতিহাস ! আমাদের এই বৈচিত্রময় দেশে রয়েছে অসংখ্য  লোকশিল্প, কিছু কিছু হয়তো জানা আবার অনেক কিছুই হয়তো অজানা। আমরা ভারতের বৈচিত্র্য, সংস্কৃতি নিয়ে বেশ আলোচনা করি, কিন্তু চিত্রকলা? চিত্রকলা ছাড়া আদেও কি সংস্কৃতি পূরণ হবে? আমাদের ভারতীয় লোকশিল্পে এমন অনেক অজানা দিক আছে, যা হয়তো সেভাবে আলোচিত বিষয় নয়। আমাদের ভারতের শিল্পের ইতিহাস হয়তো এখনো অনেকের কাছেই অজানা। ভারতের চিত্রকলার যে নৈপুণ্যতা এবং তার যে আকর্ষণীয় দিক তা নিয়ে হয়তো সেভাবে কথা বলা হয়না। আর, এই কলাকৌশলের পেছনে যাদের অবাধ পরিশ্রম রয়েছে তাও হয়তো অজ্ঞাত। সঠিক যত্ন ছাড়া এই "চিত্রকলা" হয়তো হারিয়ে যেতে বসেছে আজকের ভারতের ইতিহাসের পাতা থেকে, তাই সময় থাকতে থাকতে সেই বিষয়ে খানিকটা আলোচনা করে নেওয়াই ভালো। ভারতকে সমৃদ্ধ সংস...